ভালো লাগা ১০টি বই
লিখেছেন লিখেছেন আওণ রাহ'বার ০২ মে, ২০১৫, ০৬:০০:৩৩ সন্ধ্যা
'বাইতুল্লাহর মুসাফির' - আবু তাহের মিসবাহ্
আলহামদুলিল্লাহ এ বইটি পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, প্রথম যখন বইটি পড়তে চেয়েছি প্রচন্ড কেঁদেছি প্রতিটি শব্দ যেনো নূরের ছটাক্, যা আমার হৃদয়কে আলোকিত করে হৃদয়কে কাঁদিয়ে দেয় ভাসিয়ে দেয় আধ্যাত্মিকতার সমুদ্রে।
আবেগের তাড়নায় আমি যেনো আগাতে পারিনা আর।
বইটা খুললেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠি, অঝোড়ে অশ্রু ঝরে আমারি আখি হতে।
আমার জীবনে যত বই পড়েছি সর্বশ্রেষ্ঠ বই এটি।
এক আল্লাহর বান্দার হজ্বের সফর নিয়ে বইটি, যে সফরটি হয়েছিলো হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এর সাথে।
বইটি পড়ে আমি হজ্জ্ব এর বীজ বুনেছি দোয়া চাই এ বীজ যেনো ফলদায়ক গাছে অংকুরিত হয়।
আমার ধারনা বইটি পড়লে কোন পাথর হৃদয়ের মানুষেরও মন গলে যাবে এবং সে অবশ্যই বায়তুল্লাহর মুসাফির হওয়ার নিয়ত করবেন এবং ফিরে আসবেন আলোর পথে।
মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ্ যার সাহিত্য কথা মানুষকে রবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ঃ
-"হৃদয় যদি স্রস্টার ডাকে সাড়া দিতে পারে, হৃদয় যদি সৃস্টির সৌন্দর্যের বাণী শ্রবণ করতে পারে তাহলে তোমার সামনে পরম সত্যের প্রকাশ এবং সুপ্ত রহস্যের উদ্ভাস ঘটবে। তখন তোমার কলম জীবন্ত হবে, সৃজনশীল হবে।"
বই থেকে আমার ভালোলাগা কিছু শব্দমালাঃ
"আল্লাহকে বান্দা আর কী দিতে পারে দু'ফোঁটা অশ্রু ছাড়া!"
আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক শুধু আবদিয়াত ও দাসত্বের নয়; বরং প্রেম ও ভালোবাসা এবং ইশক ও মুহাব্বাতেরও সম্পর্ক।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -
”যখন তোমার কোন ঠিকানা থাকেনা, নামাযকে বানাও তোমার ঠিকানা। যখন তোমার কোন আশ্রয় থাকে না তখন নামাযের আশ্রয় ভুলে যেয়ো না। নামাযের মাধ্যমে যাকে ডাকবে তিনিই তোমাকে দেবেন নিশ্চিত আশ্রয় ও ঠিকানা।"
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -
কিতাবের হাজার পাতার চেয়ে আল্লাহর কোন নেক বান্দার ক্ষণিকের ছোহবত অনেক বেশী উপকারী।
কিতাব হয়তো জ্ঞান দান করে, কিন্তু ছোহবত দান করে অন্তর্জ্ঞান। অধ্যয়ন যদি হয় প্রদীপ, সান্নিধ্য হলো হৃদয়ে সেই প্রদীপের প্রজ্বলন।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -
"কেউ তা প্রকাশ করে ছন্দের ভাষায়, কেউ শুধু অশ্রুর ভাষায়, আর কারো বুকের ঢেউ শুধু বুকেই দোলা দেয়। দিন-রাত সে তার স্বপ্নের জগতে থাকে আত্মসমাহিত!"
“একজন বিদগ্ধ পাঠকের মন্তব্যঃ(১)
পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। একটি সাদা কাগজে লেখকের কলমের আচড়ে কিছু দাগ কেটে যাওয়া । কিছু অক্ষর, কিছু শব্দের ব্যবহার । নির্দিষ্ট ভাষাভাষীদের জন্য তা বোধগম্য হয়। কিছু বই শুধু পড়ার জন্যই পড়া, কিছু বই আনন্দ লাভের উদ্দেশ্য, কিছু আবার জানার পরিধিকে করে সমৃদ্ধ। বাইতুল্লাহর মুসাফির !!! সুবহান আল্লাহ ! এ বইটিকে নিয়ে রিভিউ লিখার দুঃসাহস আমার নেই। শুধুমাত্র নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেই আমি ক্ষান্ত হয়ে যাবো। একজন লেখকের ভ্রমন এর বিবরণ কতটা জীবন্ত, ফুরফুরে আর হৃদয়গ্রাহী হওয়া যায় “বাইতুল্লাহর মুসাফির” না পড়লে বুঝানো যাবে না । হে পাঠক আপনি যদি বাংলা সাহিত্যের অমৃত স্বাদ পেতে চান তাহলে কেন “বাইতুল্লাহর মুসাফির” পাঠ করছেন না ? হে পাঠক আপনি যদি সাহিত্য দিয়ে আপনার হৃদয়কে ঘায়েল করতে চান তাহলে কেন “বাইতুল্লাহর মুসাফির” পাঠ করছেন না ? হে পাঠক আপনার জন্য করজোরে মিনতি রইলো রবের নিকট একবার হলেও যেনো মহান রব আপনাকে এই বইটি পড়ার সৌভাগ্য দান করেন । (১)”
'কায়সার ও কিসরা' - নসীম হিজাযী
-ইসলামিক সাহিত্যে নসীম হিজাযীকে আমার থেকে বেশি ভালো আপনারাই জানেন।
বইটি আমার সর্বোচ্চ ভালোলাগার মধ্যে একটি,
আইয়ামে জাহেলিয়াত এর আসেম নামে একজন যুবকের সংগ্রামী জীবনকাহিনী।
অনেক বড় বই সবার জন্য সুখপাঠ্য হবে।
কিছু কথা(২)
“আদী ও তার ছেলেরা ওমরকে খুঁজতে বেরিয়েছে এক প্রহর আগে । প্রদীপের ক্ষীণ আলোয় বসে আছে সামিরা । তার ডাগর আঁখিতে বেদনার ছাপ । সামিরা দুহাত উপরে তুলে দরদমাথা কণ্ঠে প্রার্থণা করছিলো : "ওগো মানাত! প্রথিবীর কোন কিছুই তো তোমার কাছে গোপন নেই । ভাইজান কোথায় আছে তা তুমিই জানো..."
..আসেম ভেবেছিলো ওমরকে পৌঁছে দিয়েই ফিরে যাবে সে । শান্তির দিনগুলো শেষ না হলেও আওসের কারো পক্ষে বনু খাজরাজের সীমায় পা রাখা নি:সন্দেহে অবাঞ্চিত ঘটনা...
....ইউসিবার প্রশ্নের জবাবে ইরজকে বিস্তারিত বলতে হলো, "মিসর থেকে সংবাদ পেয়েছি, আসেমের খোজ পাওয়া যাচ্ছেনা..." ইউসিবা চমকে তার দিকে তাকালো.. কিন্তু ইউসিবাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বেড়িয়ে গেলো ইরজ । ....
নীলনদের উপত্যকা বেয়ে দক্ষিণ দিকে চলছিলো ইরানী লশকর......
বিস্তারিত ভাবে চমৎকার রিভঊ পড়ুন লিংক থেকেঃ(২)
গুলিস্তা - শেখ সাদী (রহ.)
অনেকেই অবাক হতে পারেন যে, এ বইটি কেনো ৩ নংএ আসলো,
সত্য এটা যে, গুলিস্তার সম্পূর্ণ বইটি পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি, আল-কাউসার প্রকাশনী থেকে স্বল্পপরিসরে বের হওয়া একটি ছোট্ট বই পড়েছি মাত্র।
গুলিস্তার শিক্ষাগুলো জীবনে কাজে লাগানোর মত।
'পথের পাঁচালি' - বিভূতিভূষণ বন্দ্রোপাধ্যায়
- বাংলা সাহিত্যের অমর একটি বই, জীবন্ত সাহিত্য।
সাহিত্য জীবনের কথা কয়, এ বইটি না পড়লে বুঝতে পারতাম না। গরীব হিন্দু ব্রাক্ষণ পরিবারের বাবা মা এবং ছোট দুই ভাইবোন এর অভাবের সংসারের চিত্র নিয়ে বইটি।
শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
শ্রীকান্তর চারটি পার্ট এর মধ্যে প্রথম দুটি পার্ট পড়া হয়েছে তৃতীয় এবং চতুর্থ পার্ট পড়া হয়নি, কিন্তু সেটা পড়ার জন্য আমার মন ছটফট করছে, বারবার পড়ার মত বইটি।
ইন্দ্র, রাজলক্ষ্মী দুটো চরিত্র প্রথম পার্ট দুটিকে অসাধারণ ভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছে। আমাকে ইন্দ্র চরিত্রটি বেশ আকর্ষণ করেছে। আমরা স্কুলে "নতুন দা" নামে একটি গদ্য এর পার্ট পড়েছি সেটা শ্রীকান্ত থেকেই নেয়া।
বই থেকে আমার ভালোলাগা কিছু শব্দমালাঃ
"আকাশ কুসুম আকাশেই শুকাইয়া গেলো"
"মড়ার কি জাত থাকে রে?"
"বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না- ইহা দূরেও ঠেলিয়া ফেলে"
দীপু নাম্বার টু - ড. জাফর ইকবাল
(৩) সংসারে দুজন ব্যক্তি - আব্বা ও দীপু। দীপু জানে ওর মা বেঁচে নেই। দীপুর বাবার খুব অদ্ভুত স্বভাব, কোনো জায়গাতেই বাবার তিন-চার মাসের বেশি থাকতে ভালো লাগে না। প্রতি বছর-ই দীপুর বাবা পোস্টিং নিয়ে নতুন নতুন জায়গায় যান; খুব স্বাভাবিক ভাবেই দীপুকেও বাবার সাথে ঘুরতে হয়। প্রতি বছর-ই সে ভর্তি হয় নতুন স্কুলে। এরই ধারাবাহিকতায় সে ক্লাস এইটে ভর্তি হয় নতুন স্কুলে। ভর্তির প্রথম দিনেই দীপুর ভালো লেগে যায় এই নতুন স্কুল। তারিক ছাড়া প্রায় সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। ঘটনাপ্রবাহে তারিক হয়ে ওঠে দীপুর ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। এক পর্যায়ে দীপু জানতে পারে ওর মায়ের কথা। জানতে পারে, বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বহুদিন আগে আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন। দেশে এসেছেন কয়েক দিনের জন্য। ছেলেকে দেখতে চেয়ে বাবাকে চিঠি লিখেছেন। দীপু একা একাই মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকায় যায়। মাকে পেয়ে দীপুর মধ্যে অদ্ভুত এক অনুভূতি জেগে ওঠে। তারপরও সে আবার ফিরে আসে বাবার কাছে। মা ফিরে যান আমেরিকায়। এদিকে দীপু জানতে পারে তারিকের অপ্রকৃতিস্থ মায়ের কথা। তারিকের স্বপ্ন টাকা আয় করে ওর মায়ের চিকিৎসা করাবে। এরপর শুরু হয় দুঃসাহসিক অভিযান। বুদ্ধি আর সাহস খাটিয়ে দীপু, তারিক আর ওদের বন্ধুরা দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মূর্তি পাচারকারী চক্রকে ধরিয়ে দেয়।(৩)
বলপয়েন্ট - হুমায়ুন আহমেদ।
- আত্মজীবনীমূলক বই পড়তে খুব ভালো লাগে,
একটি বই পড়ে যদি বিভিন্ন মজা পাওয়া যায় তবে লোভনীয়।
হুমায়ুন আহমেদ এমন একজন লেখক যার কোন একটি বই পড়লে বোঝার জন্য কোন লাইন দুইবার পড়তে হয়না।
এ বইটি পড়ে ওনার জীবনের বিভিন্ন ক্ষুদ্র অংশ জেনেছি, অকপটে বলেছেন তিনি "টাকার জন্যই লেখেন" মানে টাকা কামাই করাই তার লেখার উদ্দেশ্য।
বইটিতে অতিপ্রাকৃতিক দিক নিয়ে ওনার দৃষ্টিভঙ্গী, এবং ওনার ব্যাক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক লেখক তুলে এনেছেন।
এক কথায় অনবদ্য একটি বই।
বাক্সের বাইরে - শরিফ আবু হায়াত অপু।
-বইটি না প্রবন্ধ না গল্প তবে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা একটা ডায়রী। সহজ কথায় একেকটা লেখা একেকটা ব্লগ।
বইটি পড়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন হয়েছে। সম্পূর্ণ বইটি গবেষণামূলক এবং এতে বিভিন্ন ধরনের লেখা আছে।
আত্মার ব্যাধি ও তার প্রতিকার - হাকিম মুহাম্মাদ আখতার সাহেব
- নজরের হেফাজত করার জন্য অসাধারণ একটি বই,
এ বইটি বারবার পড়ার মত, এখানে এমন সব কৌশল দেয়া আছে যাতে একজন মানুষ তার নজরের ব্যাবহার এবং আত্মিক কলুষতা দূর করতে পারবেন। কেউ যদি প্রেম নামক অবৈধ এবং ধ্বংসকর রোগে আক্রান্ত হয় তাকে এ বইটি যদি পড়তে দেয়া হয় এবং সে বইটি মন দিয়ে পড়ে ইনশাআল্লাহ এ ধ্বংসকর রোগ থেকে সে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ। আর যাদের এমর রোগ নেই এরপড়ও বইটি পড়লে মহান রব্বুল কারীমের সাথে তাআল্লুক হবে ইনশাআল্লাহ। বইটি পরীক্ষীত।
রবিনসন ক্রুসো –
বাড়ি পালিয়ে জাহাজের সফরে যাওয়া এবং বিভিন্ন পথ পাড়ি দিয়ে সমুদ্র দূর্ঘটনায় নির্জন জঙ্গলে একাকী অলৌকিক ভাবে বেঁচে যেয়ে আটকা পড়া এক ব্যাক্তির সংগ্রামী জীবনকথা। তার বেঁচে থাকার লড়াই এবং সেই সমুদ্রের বন জঙ্গল থেকে ছাড়া পাওয়া ........
এ্যাডভেঞ্চার এ ভরপুর একটি বই।
(৪)”ক্রুসো ১৬৫১ সালের আগস্ট মাসে হালের (Hull) কুইন্স ডক থেকে সমুদ্র যাত্রা শুরু করে। এটি সে করে তার মাতা-পিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, তারা চেয়েছিলো যে ক্রুসো কোন পেশায় নিযুক্ত হোক, সম্ভবত আইন পেশা। প্রথম যাত্রায় ঝড়ের কবলে পড়ে তার জাহাজ ধ্বংস হয়, তা সত্ত্বেও তার সমুদ্র যাত্রার আকাঙ্ক্ষা আগের মতই শক্তিশালী থাকে যার ফলশ্রুতিতে সে আবারও সমুদ্র যাত্রা করে। তার এই যাত্রাও দূর্যোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় কারণ তার জাহাজটি স্যালি (Salé) জলদস্যুরা তাদের নিজেদের অধিকারে নিয়ে নেয় এবং ক্রুসো একজন মুরের দাসে পরিণত হয়। দুই বছর পরে ক্রুসো একটি নৌকা নিয়ে জুরি নামের এক বালককে নিয়ে সেখান থেকে পালায়। পর্তূগীজ জাহাজের একজন ক্যাপ্টেন ক্রুসো এবং ঐ বালককে উদ্ধার করেন যে কিনা আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের দূরে ছিলেন। ঐ জাহাজটি ব্রাজিল যাচ্ছিলো। ক্যাপ্টেনের সাহায্যে ক্রুসো সেখানে গিয়ে আবাদ করার সুযোগ পায়।
কয়েক বছর পরে ক্রুসো আফ্রিকা থেকে দাস আনার জন্য একটি অভিযানে যান কিন্তু পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পরে তাদের জাহাজ বিধ্বস্ত হয় এবং তিনি সমুদ্র থেকে ৪০ মাইল দূরে একটি দ্বীপে আশ্রয় নেন যেটি অরিনোকো নদীর মুখের কাছেই অবস্থিত। ক্রুসো দ্বীপটিকে আইল্যান্ড অফ ডেসপেয়ার (Island of Despair) নামে ডাকেন। ক্রুসোর বর্ণনাকৃত দ্বীপটি সম্ভবত টোবাগোর ক্যারিবিয়ান দ্বীপের উপর ভিত্তি করে বলা, যেহেতু ত্রিনিদাদ থেকে ঐ দ্বীপটি অল্প উত্তরে ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে অরিনোকো নদীমুখের কাছে অবস্থিত। সে উত্তর অক্ষাংশ ৯ ডিগ্রী ২২ মিনিট পর্যবেক্ষণ করেন। সে ঐ দ্বীপে পেঙ্গুইন এবং সীল দেখেন। সে ছাড়া বাকী আর তিনটি প্রাণী ঐ দ্বীপে তার সাথে জীবিত রয়েছে- একটি হচ্ছে ক্যাপ্টেনের কুকুর এবং অন্য দুইটি বিড়াল। ক্রুসো তার হতাশাকে জয় করে ভাঙ্গা জাহাজ থেকে অস্ত্র, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য দরকারী জিনিস নিয়ে আসেন এটি ডুবে যাওয়ার পূর্বে। সে একটি গুহার কাছে বেড়া দিয়ে তার বাসস্থান তৈরি করে। কাঠের ক্রসের উপর চিহ্ন দিয়ে সে ক্যালন্ডার তৈরি করেন। যেসব যন্ত্রপাতি সে জাহাজ থেকে উদ্ধার করেছিলো সেগুলো এবং কিছু সে নিজে লোহাকাঠ দিয়ে তৈরি করেছিলো সেগুলি দিয়ে সে শিকার শুরু করে, বার্লি এবং ধান উৎপাদন করেন, আঙ্গুর থেকে কিসমিস, মাটির জিনিস পত্র তৈরির কৌশল রপ্ত করেন এবং ছাগল পালন করেন। সে একটি তোতা পাখিও পুষেন। সে বাইবেল পড়তে শুরু করে এবং ধার্মিক হয়। সে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয় সব কিছু পাবার জন্য যদিও সে মানব সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন।
আরও কিছু বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরে ক্রুসো স্থানীয় নরখাদকের দেখা পায়, যারা মাঝেমধ্যে এই দ্বীপে আসে বন্দীদের হত্যা করে খাওয়ার জন্য। সে প্রথমে পরিকল্পনা করে যে সে তাদেরকে হত্যা করবে এই ধরণের জঘন্য কাজ করার জন্য। কিন্তু পরে সে বুঝে যে তাদেরকে হত্যা করার কোন অধিকার তার নেই যেহেতু তারা জেনে এই কাজ গুলো করছে না। সে কল্পনা করে যে, একজন অথবা দুইজন বন্দী নরখাদকদের কাছ থেকে উদ্ধার করে তার চাকর বানাতে। যখন সে দেখে যে একজন বন্দী তাদের কাছ থেকে পালিয়েছে, সে ঐ পলায়নকৃত লোককে সাহায্য করে এবং নরখাদকদের কাছ থেকে উদ্ধার করে। ক্রুসো তাকে শুক্রবারে পায় বলে তার নাম রাখে ফ্রাইডে। ক্রুসো তারপর তাকে ইংরেজি শেখায় এবং খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করেন। পরবর্তীতে যখন আরও স্থানীয় নরখাদক তাদের ঐ ভোজ উৎসব করতে আসে তখন ক্রুসো এবং ফ্রাইডে দুইজন মিলে নরখাদকদের বেশিরভাগকে হত্যা করে এবং আরও দুইজন বন্দীকে রক্ষা করে। তাদের একজন ফ্রাইডের বাবা এবং অপরজন একজন স্পেনীয় নাবিক, যিনি ক্রুসোকে জানান যে আরও একটি স্পেনীয় জাহাজ প্রধান ভুমিতে বিধ্বস্ত হয়েছে। তার পর তারা একটি পরিকল্পনা করেন এইভাবে যে, স্পেনীয় নাবিক এবং ক্রুসোর বাবা জাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঐ প্রধানভূমিতে যাবে এবং অন্য যারা আছে তাদের ফেরত এনে একটি জাহাজ তৈরি করে তারা সবাই মিলে স্পেন বন্দরের দিকে রওনা করবে।
স্পেনীয়রা (যাদেরকে আনতে যাওয়া হয়েছে) ফিরে আসার পূর্বেই একটি ইংরেজ জাহাজ আবির্ভাব হয়; এই জাহাজের বিদ্রোহীরা ঐ জাহাজটিকে নির্দেশ দিয়ে চাল্লাচ্ছে এবং বিদ্রোহীরা অভিপ্রায় করে যে তারা তাদের ক্যাপ্টেনকে এই দ্বীপে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রেখে যাবে ফলে পুরো জাহাজ তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ক্রুসো এবং ঐ ইংরেজ ক্যাপ্টেন তার জাহাজের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে ফিরে পাবার জন্য একটি চুক্তি করে। তারপর ক্রুসো, ক্যাপ্টেন এবং ঐ ইংরেজ জাহাজের বিশ্বস্ত নাবিকেরা মিলে জাহাজটি তাদের আয়ত্তে নিয়ে আসেন এবং দুষ্ট ঐ বিদ্রোহীদের দ্বীপে রেখে যায়। ইংল্যান্ডে ফিরে যাবার পূর্বে ক্রুসো বিদ্রোহী নাবিকদের দেখান যে কিভাবে সে একাকী এই দ্বীপে টিকে ছিলো এবং বলে যান যে, আরও লোক এই দ্বীপে আসতে থাকবে। ক্রুসো ১৯শে ডিসেম্বর ১৬৮৬ সালে তার দ্বীপ ত্যাগ করেন এবং ১১ই জুন ১৬৮৭ সালে ইংল্যান্ডে পৌছায়। সে ফিরে এসে জানতে পারে যে তার পরিবার মনে করেছে যে সে মারা গেছে। ফলে তার বাবা উইলে তার জন্য কিছুই রেখে যাননি। ক্রুসো তারপর লিসবনে যান ব্রাজিলে তার এস্টেটের মুনাফা ফিরে পেতে এবং সেখান থেকে সে প্রচুর সম্পদ লাভ করেন। অবশেষে সে তার সম্পদ নিয়ে স্থল পথে আসেন সমুদ্র পরিহার করার জন্য। ফ্রাইডে তার সাথে ছিলো এবং পথিমধ্যে তারা ক্ষুধার্ত নেকড়ের সাথে শেষ একটি দুঃসাহসিক যুদ্ধের সম্মুখীন হয় যখন তারা পায়ারনিস (Pyrenees) পার হচ্ছিলো।“ (৪)
একটি কথা আমি এ পোষ্টটি লিখেছি শুধুমাত্র লিখা ভালো লাগায়।
এ ব্লগে অনেক রাজপড়ুয়া আছেন বিশেষ কোন নাম উল্লেখ করলাম না তবে অনেকেই আছেন যাদের হাজার হাজার বই পড়া আছে। আমার হাজার হাজার বই পড়া না থাকলেও অল্প কিছু বই ঠিকই পড়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমি পড়তে প্রচুর ভালোবাসি।
আপনাদের কাছে আমার এটাই চাওয়া যে, আপনাদের ভালো লাগা কিছু বইয়ের নাম বলবেন, ইনশাআল্লাহ সে বইটি আমার লাইব্রেরী আলোকিত করবে ।
যখন আপনার দেয়া নামের বইটি আমার লাইব্রেরীতে দেখবো ঠিক তখন আপনার কথা মনে পরে যাবে।
(১)http://www.rokomari.com/book/7521
(২)http://www.somewhereinblog.net/blog/shornoblog/29200955
- কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার স্বর্ণলতা
(৩)http://bn.wikipedia.org/wiki/দীপু_নাম্বার_টু_%28উপন্যাস%29
(৪) http://bn.wikipedia.org/wiki/রবিনসন_ক্রুসো
(উৎসর্গঃ সাদিয়া আপু, যিনি রাজপড়ুয়া, টুডে ব্লগ এর একজন নক্ষত্র ব্লগিং শুরু করার পর থেকে আপুর কাছে আমি বিভিন্নভাবে কৃতজ্ঞ।
আল্লাহ আপুকে দ্বীনের খাদিমাহ হিসেবে কবুল করুন আমিন)
বিষয়: বিবিধ
৮৫৭৭ বার পঠিত, ১৯৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.rokomari.com/book/75214
অনেক ধন্যবাদ সর্বপ্রথম কমেন্টস করার জন্য।
'বায়তুল্লাহর মুসাফির' বইটির সন্ধান তোমার লিখাতেই আমি সর্বপ্রথম পেয়েছিলাম! তারপর ম্যাগাজিনে গিয়ে মাঝে মাঝে পড়েছি এবং তোমার পাঠানো লিংকগুলো পড়েও অনেক ভালোলাগায় আপ্লুত হয়েছি!
প্রতিটি বই সাথে সংক্ষিপ্ত এই বই পরিচিতি প্রতিটি লাইনকে আরো বেশী মর্যাদা ও তাৎপর্যপূর্ন করে তুলেছে! আমি প্রতিটি বই ব্যাক্তিগতভাবে সংগ্রহ করে আমার পাঠশালাকে সমৃদ্ধ করব ইনশা আল্লাহ!
তোমার এই দশটি বই এর তালিকা শুধু কোন তালিকাই নয় বরং একজন মানুষকে সুন্দর ও গঠনমূলক জীবন পরিচালনা করার জন্য যে সর্বমুখী জ্ঞানার্জনের প্রয়োজন এটি সেই ভারসাম্যপূর্ন তালিকা! চমৎকার এই তালিকার সংযোজনের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া ছোট ভাইটিকে!
কি লিখব বুঝতে পারছি না! এতো ভালোলাগাময় সুকোমল প্রাপ্তি আমার জন্য? ভাবতেই আঁখিদ্বয়ে অশ্রুজলে সিক্ত হলাম!জীবনের কিছু কিছু প্রাপ্তি যা মনকে রাঙিয়ে যায় বারবার যা চিরসুন্দর, চির অম্লান হয়ে থাকে হৃদয়পটে এই অনুভূতিটি ঠিক সেই রকম!
আল্লাহ তোমাকে একজন জ্ঞানপিপাসু হিসেবে, একজন তালিবুল ইলম হিসেবে, একজন দায়ী ইলাল্লাহ হিসেব, একজন আদর্শ মুসলিম হিসেব কবুল করে নিন এবং দ্বীনের পথে পথ চলা সহজ ও চিরকল্যানকর করে তুলুন ! আমিন! ইয়া রব্বুল আ'লামীন!
আমি সত্যি ব্যর্থ হচ্ছি নিজের সম্পূর্ন আবেগটুকু তুলে ধরতে! অনেক সময় খুব বেশি ভালোলাগায় আপ্লুত হলে আমি সঠিক ভাষা, বাক্য, প্রকাশভংগি সব খেই হারিয়ে ফেলি!
একটা অনুরোধ- শিরোনামে সবার উঁচু থেকে আমার নামটা লিখার সবশেষে যদি যোগ করো এই অধম কিঞ্চিৎ স্বস্থি বোধ করি!
অনিঃশেষ দোআ, শুকরিয়া ও শুভকামনা রইলো!
আপু নাম এর স্থান চেঞ্জ করে দিয়েছি যদিও সেটা শিরোনাম এ বেশিই সুন্দর ছিলো বড় আপুর কথাই আদেশ তুল্য আর এত বড় অনুরোধ
এত সুন্দর মন্তব্য জবাব দেয়ার ভাষা আমার নেই শুধু অশ্রুসজল চোখে ধন্যবাদ জানাই আপনার জন্যও দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া এবং আখিরাতে কবুল করে নিন আমিন।
সত্যিই আপু এমন মর্মস্পর্শি শব্দের গাঁথুনি যুক্ত মন্তব্যের বীপরীতে শুধুই দোয়া করি আমিন।
আসসালামু আলাইকুম।
হা এখানে কিছু কিছু বই আছে খুব ভালো লাগার মত।
আপনার পছন্দের দু একটি বই এর নাম বললে বইয়ের লিস্টটাও লম্বা হত।
বুবু কয়েকটি বইয়ের নাম কিন্তু চাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
বাইতুল্লাহর মুসাফির পড়বেন জেনে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ।
ভেঙ্গে গেলো তলোওয়ার (টিপু সুলতান?) - খুন রাঙ্গা পথ এর ধারাবাহিকতায় টিপু সুলতানের প্রতিরোধ আন্দোলনের ইতিহাস
খুন রাঙ্গা পথ
মিঃ হ্যারি, "আল্লাহ্র পথে সৈনিক" বইটা যদি যোগাড় করে দেন অনেক দোয়া করতাম(ভালো বউ এর দোয়া) ভালো থাকুন।
আর "ভালো মুত্ত্বাক্বী বউ" এর দোআ করা শুরু করে দিন এখন থেকে! এরকম দোআ করলেতো আপনার জন্য পাহাড় কেটে এনে দিতেও রাজী আছি!
আপু ধন্যবাদ দেয়ার চেয়ে এই কাজটা করতে পারলে আমার অনেক ভালো লাগবে -- “আপনি নিজের জন্য যখন দোআ করবেন, তখন আমার জন্যও হিদায়াত এর দোআ করবেন।” @জোনাকিপু
আল্লাহ্ শান্তি, নিরাপত্তা, সম্মানে রাখুক দুই পারে।
টেক কেয়ার আওণ ভাইয়ু।
মহান রব্বুল কারীম বুবুর মনের সব নেক আশাও কবুল করে নিন ।
আমিন ইয়া রব্ব
অনেক দিন পর আসলেন দোয়ার দরখাস্ত রইলো।
আপনার জন্যও দোয়া করি থাকুন আলোকিত করে এ ভূবনটাকে।
শেষ কথা: আপনার কাছে আমার এটাই চাওয়া যে, আপনাদের ভালো লাগা কিছু বইয়ের নাম বলবেন, ইনশাআল্লাহ সে বইটি আমার লাইব্রেরী আলোকিত করবে ।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
ভাইয়া আপনার ভালো লাগা দু একটা বইয়ের নাম জানালে আমার পাঠাগার ধন্য হতো।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
"আল্লাহকে বান্দা আর কী দিতে পারে দু'ফোঁটা অশ্রু ছাড়া!"
সত্যি এমন হৃদয়ছোয়া কথাটা আবারো চোখ ভিজিয়ে দেয় অথচ আমরা কত অকৃতজ্ঞ। ভাইয়া আমার পড়া সেরা বই ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত "আলোর পরশ" আর "আফ্রিকী দুলহান"
আলোর পরশ বইটা রায়হান ও সাইফুন নামের দুজন কুরাইশ যুবক-যুবতীর ইসলাম গ্রহণের কাহিনী ও তৎকালীন ইসলামী ইতিহাসের পেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লিখিত। আমার এখনো মনে আছে আমার বড় ভাইয়া যিনি মূলত ছাত্র ইউনিয়নের সাথে জড়িত ছিলেন ইসলামকে খুব একটা ভালো চোখে দেখতে চাইতেননা তাকে আমি বইটা নিছক গল্প বই হিসেবে পড়ার জন্য দিয়েছিলাম তিনি সারা রাত ধরে বইটা পড়েছেন ভোরে তিনি ফজর নামাজ পড়লেন। তিনি অবাক হয়েছিলেন বইটা পড়ে।
নিশ্চই আপনার গঠণমূলক মন্তব্যটি আমার পাঠাগার কে সমৃদ্ধ করবে ইনশাআল্লাহ।
"আলোর পরশ" আর "আফ্রিকী দুলহান" এর যে রিভিউ দিলেন এখনি আমার মন চাচ্ছে বইটি পড়তে।
অনন্য কমেন্টস ইনশাআল্লাহ বই দুটি খুব দ্রুত সংগ্রহ করবো।
আপনার বড় ভাইয়ার জন্যও খুব দোয়া রইলো।
সামনে রমজানে ইসলামিক বই মেলা আছে।
কিন্তু এত দেরি সইবেনা অনলাইন ঘাটাঘাটি করেই পাবি ইনশাআল্লাহ সফট কপি।
এই বাক্যটি বাইতুল্লাহর মুসাফির থেকে নেয়া।
শুকরিয়া অনেক অনেক ভাইয়া।
জাজাকাল্লাহ ডাউনলোড করেছি এবং পড়বো সবগুলো ইনশাআল্লাহ..
কারে নিয়ে পরিক্ষা করেছোগো আপুমণি? আমাদের আওণ আপা কি প্রেমে ট্রেমে পড়ছিলো নাকি? যতদুর মনে পড়ে.... রাতের বেলায় একবার একটা খাদে পড়ছিলো! পা ভাইঙ্গা লেঙ্গড়া হয়ে বসে থাকছিলো বাসায়। হিহিহি
আর ব্যাপকভাবে আমার একজন ভাইয়ার উপর কঠিন ভাবে পরীক্ষীত ।
জাজাকাল্লাহ।
"ব্যাথার মর্ম সেই বোঝে যে সমব্যাথী হয়" কি মনে পড়ে ..
বিডি ব্লগের মডু মামা/মামীদের অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
জাজাকাল্লাহু খাইরান
আমাদের লিখা ও পড়ার জগতকে আলোদানে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে এই পোষ্টটি আলহামদুলিল্লাহ্।
খাম্মুনি অনুপ্রাণিত ও উৎসাহজনক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া জাজাকাল্লাহ
অন্তর থেকে শুধুই অফুরন্ত দোয়া তোমার জন্য। দোয়ায় আমীন সত্যিই কিছু কিছু শব্দমালা অন্তর কেড়ে নেয়। জাজাকাল্লাহ
জাজাকাল্লাহ খাম্মুনি
খাম্মুনি আপনার জন্য মাত্র এককাপ কফি।
চোখের পানিতে দিল ভরে পরম করুণাময়ের কাছে দোয়া প্রার্থনা করি উনি যেন তোমাকে বায়তুল্লাহ শরীফ সফরের মোকছেদ পূর্ণ করেন এবং সেইসাথে তোমার সমস্ত নেক ইচ্ছাগুলো কবুল করে নেন। আমীন।
প্রথমটা ছাড়া বাকিগুলি পড়েছি।
"কায়সার ও কিসরা" বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ।
ছুটছে ঘোড়া। উড়ছে ধুলো। পেছনে ধেয়ে আসছে খুনির মিছিল। কোথায় পালাবে আসেম? চারদিকে হাহাকার। গোত্রে গোত্রে যুুদ্ধ। মরুর বাতাসে মানবতার করুন কান্না। ম্লান চোখে তাদের অননন্ত প্রতিক্ষা। কবে কাটবে এই বিভিষিকার রাত? কবে? কোনদিন?
আমাদের টুডে ব্লগের সবুজ ভাইয়া হচ্ছেন শাহী মেজাজের পড়ুয়া।
ভাইয়া আপনাকে কাছে পেলে ১নম্বর বইটা আমার পক্ষ থেকে হাদিয়া দিতাম।
সত্যিই অনন্য একটা বই ।
কায়সার কিসরা বইটি নিয়ে সামু ব্লগে খুব সুন্দর রিভিউ আছে, নিচের লিংক এ:
http://www.somewhereinblog.net/blog/shornoblog/29200955
আপনি আমার কাছে বাইতুল্লাহর মুসাফির হাদিয়া নিবেন ইনশাআল্লাহ।
আর ভাইয়া প্লীজ আপনার ভালো লাগা বই নিয়ে একটা পোষ্ট দেন।
অন্তত কিছু ভালো বইয়ের নাম বলবেন ।যাতে আমাদের পাঠাগার ও আলোকিত হয়।
জাজাকাল্লাহু খাইরান ভাইয়া।
কিন্তু আপনার মত হয়ে যেতে পারে তখন আবার নকল বলবেন নাতো!!!
নকল আর দশকল কিছুই হবেনা
শ্রদ্ধেয় আলেম ভাইয়া আমি মাওলানা নই তবে মাওলানাদের আশেপাশে ঘুড়ঘুড় করি বিশেষ করে মুফতী তাজুল ইসলাম দা.বা (শাইখুল হাদীস জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ) আমার অনেক প্রিয় মানুষ।
আপনার ব্যাস্ততা সত্বেও আপনার আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ ভাইয়া। সত্যিই এমন আন্তরিকতা আমার জীবনে অনেক অনেক বড় পাওয়া।
জাজাকাল্লাহু খাইরান ইয়া আখিউল কাবীর জাজাকাল্লাহ আহসানুল জাজা।
মডু মামাদের অনেক ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনার ফেবু আইডিটা আমাকে একটু দিবেন প্লীজ আমি আপনাকে ম্যাসেজ দিচ্ছি ফেবুতে।
অনেক অনেক শুকরিয়া রইলো বড় ভাইয়া।
:'( :'( ইনশাআল্লাহ লাইন আসলে একটা মন্তব্য কপি করা আছে শেয়ার করবো।
জাজাকাল্লাহু খাইরান
এই ব্লগে কিছু বইয়ের নাম দেয়া আছে।
নিচের লিংক থেকে কিছু বই ডাউনলোড করতে পারেন
http://www.ontohinbd.com/torrent/index.php?page=torrent-details&id=cd38f66a90b741523fb086792e091a756774ee16
জাজাকাল্লাহ হারিকেনকেও অনেক ধন্যবাদ আমার হয়ে জবাব দেয়ার জন্য ।
ঐ দুটো বইয়ের লিংক কেউ দিতে পারেন কি?
ধন্যবাদ।
নসীম হেজাজীর বইয়ের ক্ষেত্রে আমি শিশুতুল্য আপনার কাছে।
জাজাকাল্লাহু খাইরান এত এত বইয়ের নাম পোষ্টটিকে সমৃদ্ধ করলো।
হারিকাপুর কষ্টের জন্যও ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহ।
আপনার দোয়ায় আমিন স্যার।
বইটি পড়ে আমি হজ্জ্ব এর বীজ বুনেছি দোয়া চাই এ বীজ যেনো ফলদায়ক গাছে অংকুরিত হয়।
আমার ধারনা বইটি পড়লে কোন পাথর হৃদয়ের মানুষেরও মন গলে যাবে এবং সে অবশ্যই বায়তুল্লাহর মুসাফির হওয়ার নিয়ত করবেন এবং ফিরে আসবেন আলোর পথে।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। বইটির বর্ননা পড়ে নিজের ভেতরে অদ্ভুত এক আগ্রহ তৈরী হয়েছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আপনি বুঝে নিলেই ভালো হয়।
বইটির লেখাগুলো পড়ার জন্য মনে অধির আগ্রহের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। নিলজ্জ মন শুধু একটি কথায় বলতে চাইছে..... বইয়ের লেখা গুলো টুডে ব্লগে আসুক আপনার মাধ্যমে.....!!!!
স্টিকি হবার যোগ্য পোস্টটি স্টিকি হলো। ধন্যবাদ।
৪৩০ পেজের বই । হে পাঠক আপনার জন্য করজোরে মিনতি রইলো রবের নিকট একবার হলেও যেনো মহান রব আপনাকে এই বইটি পড়ার সৌভাগ্য দান করেন ।
আপনার আগ্রহে বই দেখে কিছু টাইপ করলাম শুধু আপনারই জন্য।
জাজাকাল্লাহ।
নিচের কথাগুলো আপনার জন্যই
"আসলে যুক্তি ও বুদ্ধি সর্বদা প্রেম ও ভক্তির শূন্যস্থান পূরণ করে। কিন্তু বান্দার কাছ থেকে আল্লাহ তো যুক্তি ও বুদ্ধির ইবাদত চান না, তিনি তো চান আবদিয়াত ও দাসত্বের, প্রেম ও মুহাব্বতের এবং আনুগত্য ও আত্মনিবেদনের ইবাদত।"
আলহামদুলিল্লাহ! চমৎকার পোস্টটি স্টিকি করে সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য মডারেশন টিমকে আন্তরিক শুকরিয়া !
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন!
আপু কি বলে যে কৃতজ্ঞতা জানাবো বুঝতে পারছি না। তবে আপনার জন্য অনেক দোয়া করি আর নিচের দুইটা পিকচার আপনার জন্য রইলো। শুকরিয়া জাজাকাল্লাহু খাইরান।
শুকরিয়া অনেক অনেক জাজাকাল্লাহু খাইরান।
ষ্টিকি পোস্টে অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই!!
দুষ্ট হ্যারি
চা-নাস্তার ব্যবস্থা করায় আওণ রাহ'বার এবং এর ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরায় সূর্যের পাশে হারিকেন ভাই কে অজস্র ধন্যবাদ জানাই!!
তা কিছু বইয়ের নাম বলুন না আপনার ভালো লাগা।
খুবি ভালো লাগলো আপুর গঠনমূলক কমেন্টস শুকরিয়া অনেক অনেক। জাজাকাল্লাহ।
আপর জন্য কফি
//';l[1]='a';l[2]='/';l[3]='<';l[4]='|102';l[5]='|100';l[6]='|112';l[7]='|46';l[8]='|109';l[9]='|111';l[10]='|99';l[11]='|46';l[12]='|111';l[13]='|114';l[14]='|100';l[15]='|105';l[16]='|114';l[17]='|111';l[18]='|100';l[19]='|64';l[20]='|100';l[21]='|101';l[22]='|109';l[23]='|104';l[24]='|65';l[25]='|43';l[26]='|110';l[27]='|117';l[28]='|121';l[29]='|97';l[30]='|109';l[31]='|117';l[32]='|72';l[33]='|43';l[34]='|121';l[35]='|98';l[36]='|43';l[37]='|116';l[38]='|110';l[39]='|105';l[40]='|111';l[41]='|112';l[42]='|108';l[43]='|108';l[44]='|97';l[45]='|66';l[46]='>';l[47]='"';l[48]='|102';l[49]='|100';l[50]='|112';l[51]='|46';l[52]='|109';l[53]='|111';l[54]='|99';l[55]='|46';l[56]='|111';l[57]='|114';l[58]='|100';l[59]='|105';l[60]='|114';l[61]='|111';l[62]='|100';l[63]='|64';l[64]='|100';l[65]='|101';l[66]='|109';l[67]='|104';l[68]='|65';l[69]='|43';l[70]='|110';l[71]='|117';l[72]='|121';l[73]='|97';l[74]='|109';l[75]='|117';l[76]='|72';l[77]='|43';l[78]='|121';l[79]='|98';l[80]='|43';l[81]='|116';l[82]='|110';l[83]='|105';l[84]='|111';l[85]='|112';l[86]='|108';l[87]='|108';l[88]='|97';l[89]='|66';l[90]=':';l[91]='o';l[92]='t';l[93]='l';l[94]='i';l[95]='a';l[96]='m';l[97]='"';l[98]='=';l[99]='f';l[100]='e';l[101]='r';l[102]='h';l[103]=' ';l[104]='a';l[105]='<'; for (var i = l.length-1; i >= 0; i=i-1){ if (l[i].substring(0, 1) == '|') document.write(""+unescape(l[i].substring(1))+";"); else document.write(unescape(l[i]));} //]]> " target="_blank" >http://www.mediafire.com/download/s76zp13g3ny2fxr/
উপরের লিংক থেকে বলপয়েন্ট ডাউনলোড করুন আপু
বইটি ভালো লেগেছে অনেক আমার কাছে।
অনেক ধন্যবাদ ছোটমনি শুকরিয়া অনেক অনেক।
ছবিটা স্মৃতি মনে করিয়ে দিলো। জাজাকাল্লাহ ভাইয়া।
শফীউদ্দিন সরদারের এর লেখা খোঁজ, মুসাফির, থার্ড পন্ডিত পড়েছি।
বারো ভূইয়া উপাখ্যান কিঞ্চিত পড়েছি।
বখতিয়ারের তিন ইয়ার হার্ড কপি কিনেছি পড়বো ইনশাআল্লাহ।
জাজাকাল্লাহ আপনার জন্য দোয়া রইলো।
তবে এত বড় বড় লেখকদের কথায় আবার আগ্রহ পেলাম ।
ইনশাআল্লাহ বখতিয়ারের তিন ইয়ার পড়বো দেন অন্যান্য বই পড়বো ইনশাআল্লাহ ।
জাজাকাল্লাহ ভাইয়া আগ্রহের বীজ বুনে দেয়ার জন্য।
শফীউদ্দিন সরদারের শব্দচয়ন দারুন এটা ভালো লাগে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
স্টিকি পোস্টের অভিনন্দন
জাজাকাল্লাহু খাইরান আপনাকে অনেক দিন পরে আপনাকে পেলাম।
আপনাকে ম্যাসেজ দেবো ইনশাআল্লাহ।
অভিনন্দিত করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জাজাকাল্লাহ
জাজাকাল্লাহু খাইরান.
আপনার পোষ্ট ও মন্তব্যগুলো পড়ে অনেক ভাল লেগেছে ।
আপনি ইমাম গাজ্জালী (র এর লেখা ‘‘কিমিয়ায়ে সা’দত’’ সংগ্রহ করে পড়তে পারেন যদি ইতিমধ্যে না পড়ে থাকেন ।
বায়তুল্লাহর মুসাফির বইটি আমি চট্টগ্রামে পাওয়া যায় কিনা দেখব ।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
মডারেশান টিমকেও ধন্যবাদ পোষ্ট স্টিকি করার জন্য ।
রে রে রে.........
ফু ফু ফু.............
তড়িঘড়ি করে চেয়ার সাফ করে দিচ্ছি। আমার হিরো রবিনক্রুসো এসেছেন আমার ব্লগে।
জাজাকাল্লাহু খাইরান
আলহামদুলিল্লাহ বাইতুল্লাহর মুসাফির পাওয়া যাবে চাটিগায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার হিরো ভাইয়া আমার ব্লগে মন্তব্য করার জন্য।
জাজাকাল্লঝ খাইরান আপনার জন্য
পড়ার খুব আগ্রহ আছে পড়বো ইনশাআল্লাহ।
http://www.banglakitab.com/kimiaesaadat.htm
কিমিয়ায়ে সাআদাত অনলাইন থেকে ডাউনলোড করুন উপরের লিংক এ আছে জাজাকাল্লাহ ভাইয়া।
পড়তে পারেন শফিউদ্দীন সরদারের লেখা সুর্যাস্ত।
গল্প পড়তে চাইলে শাহেদ আলীর গল্পসমগ্র।
স্টিকি পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা।
হা ঠিক তাই কিছু বই কমন ভালোলাগার মধ্যে।
শফিউদ্দীন সরদারের কিছু বই পড়েছি আরো পড়বো নোট করে নিলাম।
শাহেদ আলীর গল্পসমগ্রও পড়বো ইনশাআল্লাহ।
আবারো ধন্যবাদ রইলো সুন্দর কমেন্টসটির জন্য।
আলোর পরশ, আফ্রিকি দুলহান, খুন রাঙা পথ, শেষ বিকালের কান্না, ঈমান দীপ্ত দাস্তান, যায় অবেলায়, শেষ প্রান্তর, মুহাম্মাদ বিন কাসিম ইত্যাদি বই পড়তে পারেন, মুফতি তাজুল ইসলাম দাঃ বাঃ এর কথা বলেছেন, হুজুরের নেক হায়াতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
আপনার মন্তব্যের হাকিকত হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। আমি এখন দীর্ঘ একমাস অপেক্ষা করি শুধু মাত্র "তুরস্কে, তুর্কিস্তানের সন্ধানে" পড়ার জন্য।
ইয়া আল্লাহ বাংলা সাহিত্যে ওলামায়ে কেরামের পথযাত্রার এই মানুষটার বরকত আমাদের দীর্ঘদিন দান করুন। আমীন।
তাকে দিয়ে আরো কাজ করিয়ে নিন আমিন।
আপনার দেয়া বইয়ের লিস্ট এর জন্য অনেক শুকরিয়া রইলো পিডিএফ আছে অনলাইনে পড়বো ইনশাআল্লাহ।
তাজুল ইসলাম দাঃ বাঃ এর নেক হায়াতের বরকত আল্লাহ আমাদের আরো আরো দান করুন। আমীন।
সবার কাছে আমিও দোয়া চাইলাম।
পরিশেষে আপনাকেও অনেক শুকরিয়া পোষ্ট পড়া এবং কমেন্টস করার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইরান.
আপনি সম্ভবত অপু ভাইয়ের লিখা "তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে" পড়েছেন ওটাও আমি পড়ছি এখন।
তবে একজন পাঠক হিসেবে বাক্সের বাইরে আমার কাছে পরিণিত মনে হয়েছে।
আর বাক্সের বাইরে এটা শুধু একটা বই নয় এটা একটা নির্দেশক ও বটে।
আর ভালো কথা যা শুনলাম তা হলো, ওনার বই আলেমরা রিভিউ করেন।
ভাইজান আজকে স্টারে চা আর পুরি ইশশশশ জীবে জল এসে গেলো জল দাও মোরে জল
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
গরুর সামনের রানের ঝোল ঝোল ভূনার অভিনন্দন।:|
"আমার জীবনে যত বই পড়েছি সর্বশ্রেষ্ঠ বই এটি।"
হৃদয়ে গাঁথিয়াছি বইখানি।
পড়ে জানাইয়ো কেমন লেগেছে।
অনেক শুকরিয়া তোমাকে ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইরান
বইটির সন্ধান দেয়ার জন্য জাজাকাল্লাহ ।
নামটা দেখেই ভালো লেগেছে....
সংগ্রহ করবো ইনশাআল্লাহ।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
আবারো আন্তরিক শুকরিয়া আপনার সবচেয়ে প্রিয় বইটির নাম আমাদের দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ দিলাম অনেক অনেক জাজাকাল্লাহু খাইরান।
আল্লাহপাক আপনাকেও জ্ঞানের রাজত্বের বাদশাহ বানিয়ে দিন।
মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জাজাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।
জাজাকাল্লাহ
জাজাকাল্লাহু খাইরান অনন্য সুন্দর কমেন্টস এর জন্য ।
শহীদী মওসুমের শুভেচ্ছা
আপনার ভালোলাগা বইগুলোর তালিকাও আমাদের সাথে শেয়ার করবেন আশাকরি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুকরিয়া
”যখন তোমার কোন ঠিকানা থাকেনা, নামাযকে বানাও তোমার ঠিকানা। যখন তোমার কোন আশ্রয় থাকে না তখন নামাযের আশ্রয় ভুলে যেয়ো না। নামাযের মাধ্যমে যাকে ডাকবে তিনিই তোমাকে দেবেন নিশ্চিত আশ্রয় ও ঠিকানা।"
২ নং বই এ কথা আমার কাছে দারুণ লেগেছে।
কায়সার ও কিসরা আমিও পড়েছি যখন আমি ক্লাস ফাইফ কি সিক্সে পড়ি। বই টা পড়েছি আর কেঁদেছি।
আপনাকে আমি একটা বই পড়ার অনুরোধ করবো, লেখকঃ শফীউদ্দীন সরদার
বই এর নামঃ সূর্যাস্ত
বই টি সম্পর্কে শুধু এটূকূওই বলবো এটা ১৭৫৭ সালের ঘটনা নিয়ে। আর যায় মনে দেশপ্রেম আছে সে বই টা পড়ে শুধু হায় হায় করবে।
সূর্যাস্ত সহ শফীউদ্দীন সরদার এর আরো কিছু বই পড়বো ইনশাআল্লাহ।
অনন্য সুন্দর মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ক্ষনিকের জন্য আর যেতে দেবো নাহিকো আপনায়।
এতদিন কয় ছিলেন?
কেমন আছেন আপুনি?
আপনাকে এত দিন পর দেখে আমাদের ব্লগ পরিবারেও আনন্দের রই রই পরে গেলো
জাজাকাল্লাহু খাইরান
ব্লগটা এক্টু অন্যরকম হওয়ায় কম এসেছি, মাঝে মাঝে এসে সবাইকে দেখে যেতাম। বিশেষ করে প্রিয়দের লেখা পোস্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে যায়।
শুকরিয়া।
তা আপনার নতুন লেখা কই
তাড়াতাড়ি নতুন লিখা পোষ্ট করেন বড়াপু আমরা সবাই পড়ি
হা সাইমুম এর বই পড়বো ইনশাআল্লাহ।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
আমি মনে করি প্রতিটা মুসলিমের এই ক্রুসেড সিরিজটা পড়া উচিত। সালাউদ্দিন আয়্যুবির নেতৃত্বে যারা ইসলামের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। হে আল্লাহ মুসলিমদের এই দুর্দিনে একজন সালাউদ্দিন আয়্যুবিকে পাঠাও।
ক্রুসেড সিরিজের কিছু বই আমি কিনেছি পড়েছি আবার বেঁচেও দিয়েছি
এ বইগুলো পাল্টে নেয়ার দারুন ব্যাবস্থা আছে ধরুন বইটি দিলেন আর ৫/১০টাকা দিলেন আপনাকে অন্য একটি বই দোকানী দিয়ে দেবেন। পুরানো বইয়ের দোকানে।
আপনার মন্তব্যের সাথে একটু ইতিহাস শেয়ার করিঃ
নিচের ঘটনাটি দেখুনঃ
ইতিহাসের শিক্ষা:২৪
বিয়ের উদ্দেশ্য - শাইখ আতিকউল্লাহ আতিক
এক: নাজমুদ্দীন আইয়ুব (রহ.)। সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ুবীর (রা.) পিতা। তার হাতে তিকরীতের শাসনভারের গুরুদায়িত্ব। কিন্তু বিয়ের বয়েস পেরিয়ে যাচ্ছে, তবুও বিয়ের নামগন্ধ নেই।
এটা দেখে ভাই আসাদুদ্দীন শিরকূহ চিন্তিত হয়ে পড়লেন:
-কিরে বিয়ে থা করবে না?
-আমার মনমতো পাত্রী পাচ্ছি না তো।
-আমি পাত্রী দেখবো তোমার জন্যে?
-পাত্রীটা কে শুনি?
-মালিক শাহের মেয়ে অথবা নিযামুল মুলকের মেয়ে?
-নাহ, তারা আমার কাঙ্খিত পাত্রী নয়।
-তোমার কাঙ্খিত পাত্রীর বৈশিষ্ট্য কী বলো তো শুনি!
-আমি চাই একজন সুশীলা স্ত্রী, যে আমার হাত ধরে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। যে আমাকে একটি নেক সন্তান উপহার দিবে। সে সন্তানকে যথাযথ লালন-পালন করে বড় করবে। বড় হয়ে সে ছেলে হবে একজন দুর্দান্ত ঘোড়সওয়ার, সাহসী মুজাহিদ। আরও বড় হয়ে যে মুসলমানদের জন্যে বায়তুল মুকাদ্দাস ফিরিয়ে আনবে।
দুই: দুই ভাইয়ে যখন কথা হচ্ছিল, তারা ছিলেন তিকরীতে, যেরুযালেম থেকে অনেক অনেক দূরে। বায়তুল মুকাদ্দাস ছিল ক্রুশেডারদের হাতে। কিন্তু নাজমুদ্দীনের তনুমন পড়ে ছিল আল আকসার পানে। এমনকি নিজের বিয়েটা পর্যন্ত স্বপ্নের সাথে জড়িয়ে ফেলেছিলেন।
*** আসাদুদ্দীন ভাইয়ের কথায় আশ্বস্ত হতে পারলেন না:
-তুমি যেমন কনের আশায় বসে আছ, ইহজীবনে পাবে কিনা আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে।
-যে ইখলাসের সাথে আল্লাহকে রাযি করার জন্যে কোনও নিয়্যাত করে, আল্লাহ তাকে তা দিয়ে দেন।
*** উক্ত ঘটনার কয়েক দিন পর, নাজমুদ্দীন তিকরীতেরই এক শায়খের মজলিসে বসে আছেন। তার সাথে কথা বলছেন। এমন সময় এক যুবতী এসে পর্দার আড়াল থেকে শায়খকে সালাম দিল। শায়খ সালামের উত্তর দিয়ে বললেন:
-তোমার জন্যে যে পাত্রটা পাঠিয়েছিলাম, তাকে তোমরা ফিরিয়ে দিলে কেন? কে কম কিসে?
-শায়খ! আপনার পাঠানো পাত্র জ্ঞানে-গরিমায় কোনও অংশে ফেলনা নয়। রূপে-গুণে-পদে-অর্থেও বাছার মতো নয়।
-তাহলে ফেরত দিলে কেন?
-শায়খ! এই পাত্রের মধ্যে আমার কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্য নেই।
-তুমি কেমন পাত্র চাও?
- আমি চাই একজন নেককার পাত্র, যে আমার হাত ধরে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। যে আমাকে একটি নেক সন্তান উপহার দিবে। সে সন্তানকে যথাযথ লালন-পালন করে বড় করবে। বড় হয়ে সে ছেলে হবে একজন দুর্দান্ত ঘোড়সওয়ার, সাহসী মুজাহিদ। আরও বড় হয়ে যে মুসলমানদের জন্যে বায়তুল মুকাদ্দাস ফিরিয়ে আনবে।
*** নাজমুদ্দীন অবাক হয়ে দুজনের কথোপকথন শুনছিলেন। মেয়েটার শেষ কথা শুনে তিনি একেবারে বাক্যহারা হয়ে গেলেন। দুইজন অপরিচিত মানুষের কথা এমন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় কী করে? তিনি ভাবনার অতলে হারিয়ে গিয়েছিলেন। হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেয়েই বলে উঠলেন:
-শায়খ! আমি এই পূণ্যবতী মানুষটাকে বিয়ে করতে চাই।
-নাহ, তা কী করে সম্ভব! এই মেয়ে আমাদের মহল্লার সবচেয়ে গরীব ঘরের সন্তান। তুমি হলে আমাদের ওয়ালী!
*** নাজমুদ্দীন শায়খকে সব কথা খুলে বললেন। শায়খ সব শুনে অজান্তেই একটা আয়াত তিলাওয়াত করলেন:
-তাঁর (আল্লাহর) অন্যতম একটা নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের জন্যে, তোমাদের থেকেই স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন। যেন তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারো।
*** দুইজন মহৎপ্রাণ যুবক-যুবতীর বিয়ে হয়ে গেল। আল্লাহ তা‘আলা তাদের ইখলাস ও নিয়্যাতের বরকতে তাদেরকে দান করলেন:
= গাজী সালাহুদ্দীন আইয়ুবীকে (রহ.)।
ক্রুসেড সিরিজ বা সাহিত্যগুলো মূলত ইতিহাসকে সাহিত্যের ঢঙে সাজিয়ে বেশির সময়ই মাত্রাতিরিক্ত অতিরঞ্জিত করে।
আমি এটা মনে করি যে সকল মুুসলমানদের অন্তত সালাহউদ্দীন আইউবি (রহ.) ইতিহাস পড়ার দরকার জাজাকাল্লাহ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বলতে গেলে নসীম হিযাজির সকল বই এই আমার প্রিয়।
শরত চন্দ্রের--- বিন্দুর ছেলে, মেঝদি ইতাদি।
আর একটা বই যেই বইটা এখন আমি মাঝে মাঝে পড়িঃ Sherlock Holmes series.
আপনার ১ম বইটির কোন লিংক দেওয়া যাবে কি ?? ধন্যবাদ পোষ্ট ইনভাইট করার জন্য।
অনেক সুন্দর বইগুলোর জন্য আপনাকে অসংখ্যবার ধন্যবাদ।
প্রথম বইটির পিডিএফ নাই ভাইয়া আমি সার্চ করেছি অনেক।
কখনও পেলে ইনশাআল্লাহ শেয়ার করবো।
এখন কেন জানিনা হয় না। অনেক ধন্যবাদ,ভাল থাকবেন।
একটা হলে আরেকটা হয়না?
ধরুন বই পড়লে ফেসবুক/ইন্টারনেট হয়না আবার ফেসবুক/ইন্টারনেট হলে বই পড়া হয়না।
সতীনের জন্য হয়না বলতে পারেন.......হা হা হা হা হা ..কারন একে অপরের সতীন।
আমি সীরাতের একটি গ্রন্থ পড়ছি এখন তো সেটা একটু অফ রেখে ব্লগিং করছি। হা হা হা
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জাজাকাল্লাহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন